মর্মান্তিক ঘটনা, একে একে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

গত ১৫ এপ্রিল নাটোরের বড়াইগ্রামের ধামানিয়াপাড়া গ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠান গিয়ে জাওহার আমিন লাদেন এবং তার দুই মামাতো ভাই আকিব হাসান ও খায়রুল বাশার ছাগির শখের বশে দুলাভাইয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তিনজনই গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিন সেখানে আকিব মারা যান। এরপর ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় ছাগিরও মারা যান। সর্বশেষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে অপর ভাই জাওহার আমিন লাদেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

৯ দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন মামাতো-ফুফাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়। মর্মান্তিক এমন মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এর মধ্যে নিহত খায়রুল বাশার বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মৃত মাওলানা ইউনুছ আলীর একমাত্র ছেলে। তিনি রাজশাহী শহরের একটি মাদ্রাসায় আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। জাওহার আমিন লাদেন বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে। তিনি নাটোর জামহুরিয়া কামিল মাদরাসার ফাজিল (ডিগ্রি) শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আকিব হাসান বড়াইগ্রাম পৌরসভার বাটরা গোপালপুর এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে এবং পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আজম খাঁন জানান, গত ১২ এপ্রিল উপজেলার ধামানিয়াপাড়া গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে আকিবের বড় বোনের বিয়ে হয়। ১৫ এপ্রিল আকিবসহ তার সঙ্গীরা ধামানিয়াপাড়া গ্রামে দুলাভাইয়ের বাড়িতে বউভাতের অনুষ্ঠানে যায়। পরে তারা শখের বশে দুলাভাইয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে স্বজনরা তাদেরকে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে প্রথমে আকিব মারা যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় খায়রুল বাশা ছাগির ও সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাতে জাওহার আমিন লাদেন মৃত্যুবরণ করেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top