খুসরুদ্দিন আনসারি নামের শারীরিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী সাহিদুনকে সুষমা স্বরাজ মেটারনিটি হোমে ভর্তি করিয়েছিলেন প্রসবের জন্য। তবে হাসপাতালে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরও জেনারেটর না চালিয়ে মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বালিয়েই অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। এতে প্রথমে নবজাতক ও পরে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। খবর এনডিটিভির। প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সোমবার বিদ্যুৎ চলে যায় হাসপাতালে। তিন ঘণ্টা ধরে জেনারেটর চালানো হয়নি। তাদের আরও অভিযোগ, সাহিদুন এবং তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পরেও আরও এক প্রসূতির সি সেকশন করা হয়েছে। এর পরেই হাসপাতালের সামনে প্রতিবাদে শামিল হয় প্রসূতির পরিবার। এরইমধ্য এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিএমসি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিএমসির বার্ষিক বাজেট হল ৫২ হাজার কোটি রুপি। তার মধ্যে ১২ শতাংশ, অর্থাৎ ৬,২৫০ কোটি বরাদ্দ করা হয় স্বাস্থ্যখাতে। এরপরেও হাসপাতালে এই ঘটনা কীভাবে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আনসারির মা বলেন, ‘আমার পুত্রবধূ একেবারেই সুস্থ ছিলেন। সব রিপোর্টও ঠিক ছিল। ২৯ এপ্রিল সকাল ৭টায় তাঁকে প্রসবের জন্য নিয়ে যান চিকিৎসকেরা। সারা দিন তাঁকে রেখে দেওয়া হয়। রাত ৮টায় বলা হয়, তিনি সুস্থ রয়েছেন। তাঁরা জানান, স্বাভাবিক উপায়ে হবে প্রসব। এর পর ওঁকে যখন দেখতে যাই, দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।’
ভুক্তভোগীর স্বজনদের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, সাহিদুনের অস্ত্রোপচার করতে হবে। সে সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। তার পরেও অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে বলেননি চিকিৎসকেরা। এরপর মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে সি সেকশন করা হয়।
আনসারির মা বলেন, ‘শিশুটির মৃত্যু হয়। আমরা কান্নাকাটি শুরু করি। তখন চিকিৎসকেরা বলেন, মা বেঁচে যাবেন। তখন তারা আরেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথা বলেন। যদিও তাঁর আগেই মৃত্যু হয় সাহিদুনের।’
বিএমসির সাবেক বিজেপি কাউন্সিলর জাগৃতি পাতিল বলেন, ‘ওই হাসপাতালের অবস্থা খারাপ। এর আগেও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’