ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। নির্বাচনে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার কৌশল নিয়ে কাজ করছেন সুনীল কানুগোলু। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি নরেন্দ্র মোদির প্রচার দলে ছিলেন। তাঁকে নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল আল জাজিরায় লিখেছেন দিল্লিভিত্তিক ভারতের সাংবাদিক সুপর্ণা শর্মা। ব্যবসা, সিনেমা, রাজনীতি, পপ সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে লিখে থাকেন তিনিভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তেলেঙ্গানা রাজ্যে গত বছর যখন কংগ্রেসের হয়ে সুনীল কানুগোলু নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন, তখন তিনি রাজ্যের ক্ষসতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে জুতসই কিছু খুঁজছিলেন। খুঁজতে খুঁজতে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ সেচ প্রকল্পের একটি পিলারে ফাটল পেয়ে গেলেন। সেই ফাটল দিয়েই তিনি বাজিমাত করলেন।
রাজ্যে কংগ্রেসকে ক্ষমতায় নিয়ে এলেন। কংগ্রেসের হয়ে সেটিই ছিল তাঁর প্রথম কাজ।
এক দশক আগে তেলাঙ্গানা রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেতা চন্দ্রশেখর রাও এই রাজ্য শাসন করেছেন। গত নির্বাচনে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এমনভাবে আনা হলো, যাতে এই সরকারের প্রতি রাজ্যের মানুষের মোহমুক্তি হয়ে যায়। সেই প্রচার নির্বাচনে কংগ্রেসের জন্য দারুন ফল বয়ে এনেছিল।ভারতীয় কংগ্রেসের নির্বাচনী কৌশলে এবার পেছন থেকে কাজ করছেন সেই সুনীল। এবার তিনি আরও বেশি কিছু চাচ্ছেন, যা তাঁর দলকে সুবিধা এনে দেবে। একটি মন্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তিনি সেই কাজ করতে চান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুনীলের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বলছিলেন, ৪০ বছর বয়সী স্বল্পভাষী মানুষটি প্রায়ই একটি কথা বলেন। ‘যুক্তি দিয়ে কোনো নির্বাচন জেতা যায় না। নির্বাচন জিততে চাই আবেগ।’
তেলেঙ্গানায় সুনীলের দলের একজন কালেশ্বরম সেচ প্রকল্পের একটি পিলারে ছোট্ট একটি ফাটলের ছবি পেয়েছিলেন। বিআরএসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সেই ফাটলকে নির্বাচনী প্রচারের বড় এক অস্ত্রে রূপান্তর করলেন সুনীল।
তেলেঙ্গানা রাজ্যের বিভিন্ন অংশে নকল এটিএম বুথ বানানো হলো, এটিএম বুথের ছবি সাঁটানো হলো। আর এই এটিএম বুথে প্রতীকী একটি অর্থ দেওয়া হলো। আর সেখানে দেওয়া হলো মুখ্যমন্ত্রীর মুখ। সব অর্থ যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে—এটিএম বুথের এই ছবি ভাইরাল হয়ে গেল। এই ছবি আর গল্পের মাধ্যমে কংগ্রেস বলতে চেয়েছে, প্রায় ৯৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত তেলেঙ্গানার গর্বের প্রতীক এই প্রকল্প বিআরএসের ভয়াবহ দুর্নীতির সাক্ষী হয়ে আছে।সব অর্থ যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে—এটিএম বুথের এই ছবি ভাইরাল হয়ে গেল। এই ছবি আর গল্পের মাধ্যমে কংগ্রেস বলতে চেয়েছে, প্রায় ৯৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত তেলেঙ্গানার গর্বের প্রতীক এই প্রকল্প বিআরএসের ভয়াবহ দুর্নীতির সাক্ষী হয়ে আছে।