রাজস্থানের একটি মসজিদের ভেতরে এক মৌলভিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করার তিনদিন পরেও অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেই কারণও তারা জানাতে পারেনি।
শিগগিরই এই হত্যাকাণ্ডেআজমের জেলার অন্তর্গত রামগঞ্জ থানার সিঁড়ি বেয়ে উঠছিলেন একজন বৃদ্ধ ও কয়েকটি শিশু। কুর্তা পাজামা পরিহিত সবার চোখে মুখেই হতাশার ছাপ ফুটে উঠছিল।
নিজের ভাতিজা আর কয়েকটি শিশুকে নিয়ে ওই বৃদ্ধ এসেছিলেন মাওলানা মাহিরের হত্যার ঘটনায় নিজেদের বক্তব্য রেকর্ড করাতে। জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ দাবি করলেও গোটা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ মোহাম্মদী মসজিদটি রাজস্থানের আজমের জেলার রামগঞ্জ থানা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে কাঞ্চন নগরে অবস্থিত। মসজিদের সামনে কিছুটা ফাঁকা জমি পড়ে আছে আর ভেতরে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশের সদস্য বসেছিলেন।
প্রায় চারশো গজ জমির ওপর নির্মিত মসজিদ চত্বরে ঢুকলেই ডান দিকে মূল মসজিদ আর তার সামনে একটা ঘর।
ঘরটি পুলিশ তালা বন্ধ করে দিয়েছে যাতে ভেতরে কেউ যেতে না পারে।
ময়নাতদন্তের পর মাওলানার পরিবার মরদেহ উত্তরপ্রদেশে নিয়ে গেছে। তাকে সেখানে ২৮শে এপ্রিল কবর দেওয়া হয়েছে।
মাওলানার হত্যার পরে মুসলমান সম্প্রদায় আজমেরের কালেক্টরের অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবি তোলে।
এই ঘরেই ২৭শে এপ্রিল রাত আড়াইটা নাগাদ মাওলানা মুহাম্মদ মাহিরকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।